1. deshrupayan@gmail.com : DeshRupayan :
দোহারে গ্রাহকের ৯০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও ব্যাংক ম্যানেজার - Desh Rupayan
বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
Welcome To Our Website...

দোহারে গ্রাহকের ৯০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও ব্যাংক ম্যানেজার

  • Update Time : শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১১৩ Time View
image 838110 1723680847 (1)

সিনিয়র প্রতিনিধি.

গ্রাহকের  ৯০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার মো. শহীদুল ইসলাম। এখন সে টাকা আদায়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন গ্রাহক আলা উদ্দিন মোল্লা। এ ঘটনা ঘটে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকার দোহারের জয়পাড়া শাখায়। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, এ টাকা ব্যাংকে জমা হয়নি। হয়তোবা নগদ লেনদেনের মাধ্যমে ম্যানেজার নিজেই টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। ভুক্তভোগী বলছেন, এটা জালিয়াতি। ব্যাংকে যে টাকা জমা দিয়েছি, তার চেকসহ বিভিন্ন প্রমাণ আমার কাছে আছে। ব্যাংকের ম্যানেজার টাকা মেরে পালিয়ে গেলে সে দায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। সুতরাং ব্যাংক আমার পুরো টাকা ফেরত দেবে।

জানতে চাইলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এসভিপি) ও জয়পাড়া শাখার বর্তমান ম্যানেজার মিজানুর রহমান  বলেন, এ ঘটনার পর সাবেক ম্যানেজার মো. শহীদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। শুনেছি তিনি স্কটল্যান্ডে চলে গেছেন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে দোহার থানায় একটি মামলা করেছেন ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখার ফার্স্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার আব্দুর রাকিব তালুকদার। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে মামলার লিখিত এজাহারে আব্দুর রাকিব তালুকদার উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ২ মার্চ আনুমানিক বেলা ১১টায় জয়পাড়া শাখার গ্রাহক আলাউদ্দিন মোল্লা (হিসাব নম্বর: ৪০১৪১১১০০০০৩৪৪০, হিসাবের নাম : মেসার্স লাকী এন্টারপ্রাইজ) শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের জয়পাড়া শাখায় উপস্থিত হয়ে ৯০ লাখ টাকার মুদারাবা টার্ম ডিপোজিট রিসিট (এমটিডিআর) হিসাবের একটি মানি রিসিট নগদায়নের জন্য উপস্থাপন করেন। মানি রিসিটটি ব্যাংকের সফটওয়্যারের সঙ্গে যাচাই করে দেখা যায়, এটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ইস্যু করা হয়নি। মানি রিসিটটি জাল বলে প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় জাল মানি রিসিটের বিষয়ে গ্রাহককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, জয়পাড়া শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে এই মানি রিসিট পেয়েছেন তিনি, যা সন্দেহজনক।

প্রসঙ্গত, শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম চলতি বছরের ৯ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটিতে থাকার পর অদ্যাবধি কর্মস্থলে যোগদান করেননি। ২০ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ থেকে তার অনুপস্থিতির জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন উপায়ে যোগাযোগের চেষ্টা সত্ত্বেও কর্মস্থলে যোগদান করেননি তিনি। মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, এমন অনুপস্থিতি এবং উল্লিখিত জাল মানি রিসিট ছাড়াও নানাবিধ আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে শহিদুল ইসলামের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ টাকা ব্যাংকে জমা হয়নি। হয়তোবা নগদ লেনদেনের মাধ্যমে ম্যানেজার নিজেই টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। যে টাকা ব্যাংক পায়নি, তা কীভাবে ব্যাংক ফেরত দেবে? তিনি আরও বলেন, শহীদুল ইসলাম পালিয়ে গেলেও তার বাবা, ভগ্নীপতি দেশে আছেন। ইতোমধ্যে তারা আরও দুই পাওনাদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন। তাদের থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করা যেতে পারে। এ প্রস্তাব ভুক্তভোগীকে দিলে তিনি সাড়া দেননি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী আলা উদ্দিন মোল্লা বলেন, আমি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের জয়পাড়া শাখায় চেকের মাধ্যমে টাকা জমা রেখেছি। অন্য কারও কাছে টাকা চাইতে যাব কেন? ব্যাংকে টাকা রেখেছি, ব্যাংক টাকা দেবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: MMCIT